মো. জাকির হোসেন ।।
কুমিল্লা শাসনগাছা বাস টার্মিনালে যাত্রী উঠা-নামাকে কেন্দ্র করে বাসের ড্রাইভার, হেলপাররা সিএনজি চালিত অটোরিকশার ড্রাইভার এর সঙ্গে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে সোমবার বিকাল ৩টায়। এঘটনার জের ধরে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় সিএনজি চালক ইমান হোসেন টাটেরা নামক স্থানে তার সঙ্গীদের নিয়ে অবস্থান ফারজানা টান্সপোর্টের উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং চালক হেলপার যাত্রী সহ ৬-৭ জন আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা বাসের চালক আল আমিনের পকেট থেকে ৭হাজার ২শত টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ করেছে । হামলার খবর পেয়ে ব্রাক্ষণপাড়া থানা পুলিশ ভাংচুরকৃত বাস ২ সিএনজি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় অফিস আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারী সাধারণ যাত্রীরা।
স্থানীয়, পুলিশ, পরিবহন শ্রমিক সূত্র জানায় সোমবার বিকাল ৩টায় কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কের শাসন গাছা বাস টার্মিনালে ফারজানা টান্সপোর্টের স্ট্যান্টের সামনে এসে একই সড়কের অটোরিকশা চালক ইমান হোসেন যাত্রীদের ধরে তার সিএনজিতে নিয়ে যায়। এসময ফারজানা টান্সপোর্টের পরিচালক রায়হান ও শ্রমিকরা তাকে এভাবে যাত্রী নিতে নিষেধ করে। এ নিয়ে ইমান হোসেন বাসের পরিবহনের শ্রমিকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে বাসের পরিচালক ও শ্রমিক নেতা আনিসুর রহমান টিটু, পরিবহনের কেরানি বদি উজ্জামান দিপু উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেন এবং সিএনজি চালক ইমান হোসেন কে তাদের অফিসে বসিয়ে আপ্যায়ন করান এছাড়া তার সিএনজিতে যাত্রী উঠিয়ে দেন।
বাসের চালক আল আমিন বলেন আমরা যাত্রী নিয়ে ফারজানা টান্সপোর্টের বাসটি (০২ ২৪) ব্রাহ্মণপাড়ার টাটেরা পৌছা মাত্র ইমান হোসেন তার সঙ্গে অপর একজন সিএনজি চালক কামাল হোসেন সহ ২-৩ জন বাসের অতর্কিত হামলা চালায় এবং পরিবহনের ৩ শ্রমিকসহ ৬-৭ জন হয়। আহতরা হলো চালক আল আমিন, সহকারী চালক রুবেল মিয়া, হেলপার রফিকুল অন্যরা বাসের যাত্রী। যাত্রীরা বাস ভাংচুর ও হামলা দেখে দিকবিক ছুটে যায়। খবর পেয়ে ব্রাক্ষণপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ভাংচুর কুত বাস দুটি সিএনজি উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা অটোরিকশা সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল জলিল মেম্বার বলেন সিএনজি চালক ইমান হোসেন হল স্থানীয় উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা সারোয়ারে এলাকার তাই তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বলেছেন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা সিএনজি ও যাত্রী বাহী বাস চলাচল করবে। এতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আইন শৃখলা বাহী ব্যবস্থা নেবে। বাস ভাংচুরের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মনপাড়া থানায় বৈঠক বসে মিমাংসা করা হবে।
এবিষয়কে কেন্দ্র করে বাস ও সিএনজি মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ পযর্ন্ত বন্ধ ছিল। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দুপুর ১২টার পর গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এবিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জাকির হোসেন বলেন কুমিল্লা শাসন গাছা বাস টার্মিনালে যাত্রী বাহী বাসের শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মাঝে যাত্রী নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ব্রাহ্মণপাড়ার টাটেরায় বাস ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুর কৃত বাস আর দুটি সিএনজি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় যান বাহন চলাচলে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাস ভাংচুর ও অন্য বিষয়ে থানায় বসে তারা সমাধান করবে।